নতুন সরকারের পরিকল্পনায় নির্বাচন ও সংস্কার: প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেবে সরকার

সরকারের প্রেস সচিবের সংবাদ সম্মেলন: সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি

অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা সংস্কার কাজের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও দ্রুত এগিয়ে নেবে। সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ পাশাপাশি চলবে। তিনি বলেছেন, যখন সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য আসবে, তখন দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

শনিবার রাতের এক সংবাদ সম্মেলনে, রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটি একটি অগ্রগতির পদক্ষেপ। আমরা নিশ্চিত করছি যে, নির্বাচন এবং সংস্কার—দুই কাজ সমান্তরালে চলবে।”

শফিকুল আলমের সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম এবং অন্যান্য কর্মকর্তারাও। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তিন মাসের মধ্যে এই কমিশনগুলো একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে, যা পরবর্তী আলোচনা এবং সিদ্ধান্তের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

এ সময় মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের জানান, যেসব ব্যক্তিরা গণহত্যা বা ফ্যাসিবাদে জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সঠিক তদন্ত ও মামলার মাধ্যমে সকলকে বিচারিক ব্যবস্থার আওতায় আনব।”

আলোচনার মধ্যে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও উঠে আসে। দুর্গাপূজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মাহফুজ আলম জানান, সব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং তারা সরকারকে তাদের সরকার বলেও উল্লেখ করেছেন।

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে কমিশনগুলোর প্রস্তাবনার ভিত্তিতে সবকিছু ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, “সরকার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা পরিস্থিতির উন্নতি দেখতে পাব।”

এভাবে সরকারের পরিকল্পনাগুলো দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।