দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি: আগামী দুই বছরে শক্তিশালী অবস্থানে থাকার প্রত্যাশা

রিপোর্ট:

বিশ্বব্যাংক আশা করছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ৬.৪ শতাংশে উন্নীত হবে, যা পূর্বের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে এবং এই অঞ্চলটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলের পথে নিয়ে যাবে। তবে, এই উন্নতির জন্য নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ডেভলপমেন্ট আপডেট অক্টোবর ২০২৪: উইমেন, জবস অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দুই বছরের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশে শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে প্রতিশ্রুতিশীল, তবে এই অঞ্চলটি তার পূর্ণ অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে। নারীদের কর্মশক্তিতে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। প্রয়োজনে মূল নীতি সংস্কারের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।”

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০২৩ সালে এই অঞ্চলে মাত্র ৩২ শতাংশ কর্মজীবী নারী শ্রমশক্তিতে ছিলেন, যা ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী পুরুষের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ভুটান ব্যতীত, দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পয়েন্ট কম।

নারী শ্রমশক্তিতে এই ঘাটতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বিবাহিত অবস্থায়। গড়ে, বিবাহিত হওয়ার পর দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ১২ শতাংশ কমে যায়, এমনকি সন্তান হওয়ার আগেই।

এই পরিসংখ্যানগুলো প্রমাণ করে, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নারীদের কর্মশক্তিতে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন।