আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে আজ ছিল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের দ্বিতীয় দিন। এদিন সভাপতি পদে দুটি এবং সদস্য পদে তিনটি মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়েছে। সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কোনো ফরম বিক্রি হয়নি।
আজ সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালের পাশাপাশি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মিজানুর রহমান, যিনি ফুটবলাঙ্গনে অচেনা। তিনি দিনাজপুরে তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ করেন এবং এই প্রথম বাফুফে সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মিজানুর জানান, “৫০ বছর ধরে দিনাজপুরে ফুটবলের সঙ্গে আছি। ফুটবলের অধঃপতন হচ্ছে, এজন্য চিন্তা করলাম এবার নির্বাচন করার।”
বাফুফে নির্বাচনে অনেক যোগ্য ব্যক্তি সভাপতি হতে পারেন না নানা অঙ্ক ও সমীকরণের কারণে। তবে মিজানুর এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত নন। আনুষ্ঠানিক বয়স ৬৭ হলেও প্রকৃত বয়স প্রায় সত্তর। বয়স নিয়ে তিনি বলেন, “আমি তো চেয়ারে বসে সিদ্ধান্ত নেব, মাঠে দৌড়াব না।”
আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে দ্বৈরথ হওয়ার কথা ছিল তরফদার রুহুল আমিন ও তাবিথ আউয়ালের মধ্যে। তাবিথ বর্তমানে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। অন্যদিকে, রুহুল আমিন স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন এবং নির্বাচনের বিষয়ে অন্যদের আলোচনা করতে বলেছেন।
রুহুল আমিন এক দশক ধরে ফুটবল নিয়ে কাজ করছেন এবং শত কোটি টাকা খরচ করেছেন। তবে তার সভাপতি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এখনও পূর্ণ হয়নি। তার অনুসারীরা এখন তাবিথের সঙ্গে সমঝোতা করে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছেন।
তাবিথ আউয়ালের বাফুফে সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত, তবে তার সালাউদ্দিন-কিরণ ঘনিষ্ঠতা বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তুলেছে। তাবিথ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এবং ক্রীড়াঙ্গনে বিএনপির নেতৃবৃন্দ তার কিরণ-সালাউদ্দিন সখ্যতা ভালোভাবে গ্রহণ করছে না। তবে ভোট হলে তাবিথের কিরণ-সালাউদ্দিনের সহায়তা প্রয়োজন হবে।
গতকাল প্রথম দিনে মোট ২৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। যারা মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তারা সমমনা। রুহুল আমিন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করলে একটি অঙ্ক আর না আসলে অন্য রকম হিসাব হতে পারে।
আজকের মনোনয়ন বিক্রি:
- সভাপতি: তাবিথ আউয়াল, এ এফএম মিজানুর রহমান চৌধুরী।
- সদস্য: মঞ্জুরুল করিম, শফিকুল আজম ভূইয়া ও শরিফ উদ্দিন।
শনিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়ন গ্রহণের শেষ দিন। তাই শনিবার দিনটি বেশ রোমাঞ্চকর হওয়ার অপেক্ষা।