রাজধানী ঢাকার দখল হয়ে যাওয়া খালগুলোর মধ্যে মাত্র ১৫টি খাল খনন করলেই অবিরাম জলাবদ্ধতা সমস্যার প্রায় ৮০ শতাংশের সমাধান সম্ভব—এমনই startling তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি একটি গবেষণায়। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) রাজধানীর ৯টি জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে চলমান সমস্যার সমাধানে তাদের সুপারিশ তুলে ধরেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, খালগুলোর মধ্যে রূপনগর মেইন খাল, বাউনিয়া খাল, বাইশতেকি খাল, সাংবাদিক কলোনি খাল, কল্যাণপুর খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, পান্থপথ বক্স কালভার্ট খাল, রায়েবাজার খাল, জিরানী খাল, রামপুরা খালের দক্ষিণ প্রান্ত, দোলাই খাল, কদমতলী খাল এবং মান্দা খাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া, জলাবদ্ধতার ৯টি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পল্লবী শিয়ালবাড়ী, রূপনগর, কালশী, মিরপুর-১১, শেওড়াপাড়া, ধানমণ্ডি ২৭, হাজারীবাগ, রামপুরা, সূত্রাপুর, এবং জুরাইন।
আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “একসময় ঢাকা থেকে বৃষ্টির পানি সরতে পারে এমন ৭৭টি খাল ও লেক ছিল। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগই আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে দখল হয়ে গেছে।” তিনি জানান, খালগুলোর পুনরুদ্ধারের জন্য স্থানীয় জনগণ এবং কমিউনিটির সম্পৃক্ততা ও দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার অপরিহার্য।
গবেষণাটি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ‘ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা ও আমাদের দখলকৃত খাল’ শীর্ষক শিরোনামে পরিচালিত হয়। এজাজের মতে, “চিহ্নিত ১৫টি খাল খনন করতে পারলে নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার ৮০ শতাংশ সমাধান হবে।” তিনি একটি মডেল অনুসরণ করারও পরামর্শ দেন, যেখানে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে খাল এলাকা ও তীরগুলোর পুনরুদ্ধার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, “যেসব এলাকায় বেশি জলাবদ্ধতা দেখা যায়, খননের জন্য চিহ্নিত খালগুলোর সেইসব এলাকার সঙ্গে যুক্ত কি না, সেটি খেয়াল রাখতে হবে।”
এই পরিকল্পনার মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে, ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে এবং রাজধানীর পরিবেশ ও জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।