পুলিশ নিয়োগে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদে চাকরি প্রত্যাশীদের মানববন্ধন

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের সামনে চাকরি প্রত্যাশীরা এক মানববন্ধনে অংশ নেন, যেখানে তারা পুলিশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।

মানববন্ধনে চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, নিয়োগে একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে, যা শুধু একদলের মানুষকে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে অন্য দলগুলোর সমর্থকদের বঞ্চিত করেছে।

তারা আরও বলেন, ২৬তম সার্জেন্ট ও ৪০তম এসআই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। তারা অভিযোগ করেন, ভিন্ন মতাদর্শের কারণে এবং ঘুষ দিতে অক্ষম হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, গত দুই মাস ধরে তারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কাছ থেকে পুনঃনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছেন।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. আবু সাইদ বলেন, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন এবং ৪০তম এসআই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক ভেরিফিকেশনের নামে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেও বিএনপির সমর্থক হওয়ার কারণে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেন।

বরগুনা থেকে আগত চাকরি প্রত্যাশী রাইসুল আমিন হৃদয় বলেন, তিনি বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন, তবে ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাকে মৌখিক পরীক্ষায় বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার বাবা শ্রমিক দলের নেতা হওয়ায় ভেরিফিকেশনে নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

চাকরি প্রত্যাশীরা আশা করেন, তাদের দাবিগুলো দ্রুত মেনে নিয়ে সরকার পুনরায় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যাতে দলমত নির্বিশেষে যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়।