ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। চীন দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে পরিচিত। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জন্য চীনের পরামর্শ এবং সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার এবং পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায়।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “চীন বিপ্লবের পর যেভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে, বাংলাদেশও সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায়।” তিনি চীনের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম পাঠানোর উদ্যোগের জন্য।
উপদেষ্টা বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাক্ষাতের সময়, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “আন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই থাকুক, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক অটুট থাকবে।”
রাষ্ট্রদূত নাহিদ ইসলামকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, “চীন বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে সক্ষম হবে।”
সাক্ষাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, দূতাবাসের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক কাউন্সিলর সং ইয়াং এবং প্রথম সচিব চুই ইফেংও উপস্থিত ছিলেন।