টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের নাহিদ ইসলাম: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অগ্রদূত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের “টাইম১০০নেক্সট ২০২৪” তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম এবার “লিডারস” ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন। তালিকাটি প্রকাশিত হয় গতকাল বুধবার, টাইম এর ওয়েবসাইটে।

এই বছর পঞ্চমবারের মতো টাইম এই তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তুলে ধরা হয়েছে। “লিডারস” ক্যাটাগরিতে নাহিদ ইসলামের পাশাপাশি রয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির ‘কো চেয়ার’ লরা ট্রাম্প। উল্লেখ্য, লরা ট্রাম্প হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুত্র এরিক ট্রাম্পের স্ত্রী।

টাইম এর প্রতিবেদনে নাহিদ ইসলামের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ বছরের কম বয়সী নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। এই আন্দোলনের ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, এবং তাঁর নেতৃত্ব শেখ হাসিনার পদত্যাগের পথ তৈরি করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নাহিদ ইসলাম দেশটির তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে একটি গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য কাজ করছেন। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে তিনি জেনারেশন জেডের দুই প্রতিনিধির একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের কাজ হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা, যা গত ১৫ বছরে ক্রমশ কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছিল।

টাইম কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনার পতন হবে, এটা কেউ চিন্তাই করতে পারেননি।” তিনি আরও বলেন, “অবশ্যই নতুন প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে আমাদের। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা থেকে সরে আসতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।”

টাইম ম্যাগাজিন জানায়, সমাজের নানা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখা ব্যক্তিরা এই তালিকায় স্থান পেয়ে থাকেন। বয়স বা গোষ্ঠীভেদে কোনো বাধা নেই। এবারের তালিকায় মনোনীতদের অধিকাংশই অশ্বেতাঙ্গ এবং অর্ধেকের বেশি নারী। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে আছেন গায়ক-গীতিকার সাবরিনা কার্পেন্টার, অভিনেতা আনা সাওয়াই, টেনিস খেলোয়াড় জ্যানিক সিনার এবং পাকিস্তানি অধিকারকর্মী মাহরাং বালুচ।