কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাতিল হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পদ্ধতি নিয়ে নতুন ঘোষণা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ছয়টি পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য নতুন পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নতুন পদ্ধতিতে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার নম্বর সমন্বয়ের মাধ্যমে ফল তৈরি করা হবে, যেখানে জেএসসির ২৫ শতাংশ নম্বর এবং এসএসসির ৭৫ শতাংশ নম্বর যোগ করা হবে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর এমন প্রস্তাবের অনুমোদন পাওয়ার পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড আগামী অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।”
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, “জেএসসি ও এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল তৈরি করা হবে। যেমন, যদি কোনো বিষয়ে জেএসসিতে ১০০ নম্বর পান, তাহলে ২৫ নম্বর এবং একই বিষয়ে এসএসসিতে ১০০ নম্বর পেলে ৭৫ নম্বর নেওয়া হবে। এ দুটি নম্বর যোগ করলে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ১০০।”
তিনি আরও বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয় এবং সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।”
এদিকে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন, যা ১৬ জুলাই পর্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোটা আন্দোলনের কারণে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয় এবং ১১ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এই অবস্থায়, শিক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে, যা শেষে সফল হয়।
চলতি বছর মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।