কুষ্টিয়ার মোকামে চাল বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে: কারণ ও প্রতিক্রিয়া

কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে গত দুই মাস ধরে চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সম্প্রতি বিক্রি কমে অর্ধেকে নেমেছে। মিলমালিকদের মতে, ঢাকা থেকে চালের ক্রয়াদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যেখানে প্রতিদিন খাজানগরে একজন মিলমালিক অন্তত ছয় ট্রাক চাল সরবরাহ করতেন, সেখানে এখন সরবরাহ মাত্র তিন ট্রাকে নেমে এসেছে।

খাজানগরের মিলমালিকদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, মিনিকেট চালের জন্য এই মোকামটি সারা দেশে প্রসিদ্ধ। এখানে অন্তত ৬৪টি অটো রাইচ মিল রয়েছে, যা মিনিকেট চাল উৎপাদন করে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ট্রাক চাল ঢাকাসহ দেশের ৩৫টির বেশি জেলায় যায়। তবে, গত ১৫ দিন ধরে চালের বাজারে ক্রয়াদেশ কমে গেছে।

মিলমালিকেরা জানান, ৫ আগস্টের আগে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৬৭ টাকা কেজিতে। কাজললতা চাল ৬০ টাকা এবং আঠাশ বা মোটা চাল ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল। আজ বৃহস্পতিবার মোকামে মিনিকেট চাল সর্বোচ্চ সাড়ে ৬৬ টাকায়, কাজললতা ৬০ টাকায় এবং মোটা চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাজানগরের গোল্ডেন রাইচ মিলের পরিচালক শিহানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, “আগে আমার মিল থেকে প্রতিদিন গড়ে সাত ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো, তবে বৃহস্পতিবার মাত্র তিন ট্রাক চাল বিক্রি হয়েছে।”

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিলমালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন জানান, খাজানগরে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি বলেন, “ঢাকায় যদি দাম বাড়ে, তবে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আখতার বলেন, “প্রতিনিয়ত খাজানগর মোকামে নজর রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনো অসংগতি পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”