সরকারি কৌঁসুলি না থাকায় ঢাকার আদালতে বিচার কার্যক্রম স্থবির, নিয়োগের অপেক্ষায় আইন মন্ত্রণালয়

ঢাকার বিচারিক আদালতগুলোতে প্রায় দুই মাস ধরে নতুন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বা গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) নিয়োগ হয়নি, যার ফলে বিচারিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে বাধা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এসব আদালতে এখনো নতুন কৌঁসুলিদের নিয়োগ না হওয়ায় ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম থমকে আছে।

সরকারি কৌঁসুলিরা সাধারণত আদালতে রাষ্ট্রের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে পিপি বা জিপির অনুপস্থিতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোতে বিচারকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। বিচারপ্রার্থীরা যথাযথ বিচার পেতে সমস্যায় পড়ছেন, কারণ মামলার শুনানির তারিখ বারবার পেছানো হচ্ছে।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির একাধিক সদস্য জানান, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরে ঢাকার অনেক নিম্ন আদালতে আগের পিপি-জিপিরা আর আসছেন না। অনেকের নিয়োগ বাতিল হওয়ায় এসব পদ শূন্য রয়েছে, ফলে মামলাগুলোর শুনানি ও বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রবীণ আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো বলেন, “যেকোনো ফৌজদারি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা থাকতেই হবে। কিন্তু ঢাকার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা না থাকায় বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”

সরকারি কৌঁসুলিদের নিয়োগ না হওয়ায় ঢাকার আদালতগুলোর বিচার কার্যক্রমে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানের জন্য দ্রুত দক্ষ ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন আইনজীবীরা।