লিওনেল মেসি যখন প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফ্রি-কিক নিতে প্রস্তুত হন, তখন তাঁর দল ইন্টার মায়ামি ইতোমধ্যে একটি গোলের সুবিধা পেয়েছে। বক্সের বাঁ দিকে দেওয়া সেই ফ্রি-কিকটি মেসি কীভাবে নেন, সেটি কি ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক ডেভিড বেকহাম দেখেছিলেন?
মেসির সেই ফ্রি-কিকটি একটি ধনুকের মতো বাঁক নিয়ে কলম্বাস ক্রুয়ের গোলকিপার প্যাট্রিক শুলটেকে অতিক্রম করে জালে পৌঁছায়। শুলটে জানতেন, বলটি মানবদেয়ালের পাশ দিয়ে বাঁক নিয়ে তাঁর ডান দিকের পোস্টে আসবে। তিনি ডান দিকে একটু ঝুঁকেও ছিলেন, তবে বলের গতির কাছে মোহাবিষ্ট হয়ে একটি হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন, যেন যুদ্ধের ময়দানে আত্মসমর্পণ করছেন।
মেসি ম্যাচ শেষে বলেছেন, “শিরোপা জিততে পেরে ভালো লাগছে। বছরের শুরুতেই আমরা জানতাম, এই দলটি শিরোপার জন্য লড়বে। প্রথম লক্ষ্য অর্জন করতে পেরে আমি খুশি, এখন সামনে পরবর্তী লক্ষ্য।”
এই ফ্রি-কিকটি মেসির ক্যারিয়ারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে দাঁড়ায়। তিনি কলম্বাস ক্রুকের বিপক্ষে ৩–২ গোলে জয় পেয়ে মায়ামিকে সাপোর্টার্স শিল্ড ট্রফি জেতাতে সাহায্য করেন। এই ম্যাচের মাধ্যমে মেসি বেকহামের ফ্রি-কিক থেকে গোলের রেকর্ডকে মুছে দেন। বেকহামের নামের পাশে ছিল ৬৫ গোল, আর মেসি আজ ৬৬ গোল করে তাঁকে পিছনে ফেলেন।
বর্তমানে ফ্রি-কিক থেকে সর্বোচ্চ গোল করার তালিকায় মেসি যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিওর সাথে তাঁর গোলসংখ্যাও ৬৬। শীর্ষস্থানে রয়েছেন জুনিনিও পেরনামবুকানো, যাঁর ৭৭ গোল।
এছাড়া, মেসির এই জয় তাঁর ক্যারিয়ারের ৪৬তম শিরোপা, যা মায়ামির হয়ে দ্বিতীয়। ম্যাচ শেষে মেসি জানান, “গত বছর আগস্টে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমাদের পারফরম্যান্স পাল্টাতে শুরু করেছে। আমি মনে করি, আমাদের উত্থানে শুধু আমি নই, বরং আরও অনেকের অবদান রয়েছে।”
মেসির মতে, কোচ জেরার্দো মার্তিনো এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের আগমনে দলটি শক্তিশালী হয়েছে এবং তাঁরা প্রত্যেক ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।