সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোন পথ দিয়ে ভারতে পালিয়েছেন, সেই তথ্য পেলে তাঁকে অবশ্যই আটক করা হতো বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান বলেন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যাতে সীমান্ত পার হতে না পারেন, সে বিষয়ে বিজিবি সব বিওপিতে সতর্কতা জারি করেছে এবং তাদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী, পালিয়ে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন রিপোর্টে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভারতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়। এই বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক জানান, সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে, এবং পালিয়ে যেতে চেষ্টা করা বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে।
সীমান্ত প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ৪,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের সীমান্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হলেও বিজিবি সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। তিনি জানান, কিছু দালাল অর্থের বিনিময়ে পালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে, এমন তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজিবির প্রধান আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টাকারীদের আটক করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সাংবাদিকদেরও কোনো তথ্য থাকলে তা আমাদের জানানোর জন্য আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও জানান, বিএসএফের সঙ্গে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে পিছু হটবে না।
সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ দেওয়া হবে না, এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি প্রস্তুত।