ছয়টি কমিশন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্র সংস্কারের পথে: নতুন সম্ভাবনার সূচনা

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের পর বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ছয়টি কমিশন শীঘ্রই তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবারও আলোচনা করবে, এরপর ছয়টি কমিশন নিজেদের কাজ শুরু করবে।” কমিশনগুলোর কার্যক্রম ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। শফিকুল আলম উল্লেখ করেন যে, শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এটি ছিল “অত্যন্ত সফল, ঐতিহাসিক ও ইতিবাচক মাইলফলক।” নিউইয়র্কে চারদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে প্রধান উপদেষ্টা প্রায় ৫০টি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্তত ১২ জন শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন।

শফিকুল আলম বলেন, “প্রফেসর ইউনূসের সাথে দেখা করতে সবাই আগ্রহী ছিলেন। যারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তারা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।” তিনি জানান, প্রফেসর ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েনের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

এছাড়াও, বাংলাদেশকে বৈদেশিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলম বলেন, “বিশ্বব্যাংক ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯ মিলিয়ন ডলার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবুজ রূপান্তরের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আইএমএফের একটি দল বাংলাদেশ সফর করছে, এবং আমরা আশা করছি তারা আমাদের ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত অতিরিক্ত সহায়তা দেবে।”

শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বনেতাদের সমর্থন রয়েছে। তারা নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন করেননি, কারণ তারা জানেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার কাজগুলো সম্পন্ন করতে সময় নিবে।

প্রফেসর ইউনূস রাষ্ট্র সংস্কারকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখেন এবং তিনি চান এই কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হোক।