আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) আহ্বায়কের পদ ছেড়ে দেওয়া এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেননি। তিনি জানিয়েছেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আহ্বায়কের পদ ত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। নির্বাচনকে পক্ষপাতমুক্ত রাখার জন্য আহ্বায়কের পদ ত্যাগ করেছি। এখন কাউন্সিলররা আমাকে ভালো মনে করলে ভোট দেবেন।”
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সোলায়মান চৌধুরী তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের কথা জানালে, এটি নিয়ে আলোচনা-গুঞ্জন শুরু হয়। তিনি লিখেছিলেন, “আমি এবি পার্টির আহ্বায়কের পদ ত্যাগ করেছি।” তবে তিনি পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেননি। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগের খবর জানাজানি হলে, নানাবিধ আলোচনা শুরু হয়। এবি পার্টির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে যে, সোলায়মান চৌধুরীকে সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু আজ পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে মোবাশ্বের মোনেমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগের পর মেজর (অব.) আবদুল ওহাবকে নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এবি পার্টির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (এনইসি) জরুরি সভায় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ককে নতুন আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এবি পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পদত্যাগের পরপরই সোলায়মান চৌধুরী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হতে হলে ব্যক্তিকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পরিহার করতে হয়।
এবি পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো নেতার একই সঙ্গে দলীয় পদ এবং সরকারি দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই, ফলে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। গত কয়েক সপ্তাহে এবি পার্টির নেতা তাজুল ইসলামও দল থেকে পদত্যাগ করে সরকারি দায়িত্ব নেওয়ার ঘটনা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বি পার্টি ২০২০ সালের মে মাসে সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং মজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্য সচিব করে আত্মপ্রকাশ করে।