অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৭ হাজার নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার: আওয়ামী লীগের অভিযোগ

অক্টোবরের প্রথম সাত দিনে আওয়ামী লীগের ৭ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। দলটি দাবি করছে, সরকারের নির্দেশে থানায় থানায় গ্রেপ্তার কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, ১ থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে ৭ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, এই গ্রেপ্তারির মধ্যে বেশিরভাগই নিরপরাধ, এবং পুলিশ মিথ্যা মামলায় ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে।

দলটির দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে গত সাত দিনে ৭ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনায় জেলা পুলিশ সুপাররা থানাগুলোতে ‘গ্রেপ্তার কোটা’ নির্ধারণ করে দিয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের পোস্টের পর সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য আসতে শুরু করেছে। রিয়াদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “তারা থানায় থানায় গ্রেফতার চালাচ্ছে। কিন্তু আপনারা তো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গেরিলা বাহিনী গঠন করে বিরোধী মত দমন করেছিলেন, সেটাও আমরা ভুলি নাই।”

অন্যদিকে, মো. লিটন ব্যাপারী মন্তব্য করেছেন, “যতো মামলাই দেওয়া হোক, হামলা করা হোক, আমরা জয় বাংলার লোক, শেখ হাসিনার শেখ মুজিবুর এর সৈনিক। কেউ মনোবল হারাবেন না, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”

এই অভিযোগ এবং প্রতিক্রিয়াগুলি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যা সকলের নজর কাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *