জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানের জীবনাবসান ঘটলো এক অনিশ্চয়তার মেঘমালা নিয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতালে দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে চলা চিকিৎসার পরেও তাকে আর ঘরে ফেরানো যায়নি। তবে তার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে রহস্য।
শনিবার সকালে তার মরদেহ গোসলের সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ তথ্য আলোচনায় আসে যখন মরদেহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন অঞ্জনা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার রক্তে ইনফেকশন ধরা পড়ে। চিকিৎসার উন্নতি না হওয়ায়, তাকে বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয় এবং লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
অঞ্জনা রহমানের কর্মজীবন ছিল বর্ণাঢ্য। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করার পর চিত্রনায়ক ও প্রযোজক সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু হলেও মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল শামসুদ্দিন টগরের ‘দস্যু বনহুর’। রহস্যময় এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
চলচ্চিত্র অঙ্গন হারালো এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে। তবে তার মৃত্যু ঘিরে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে প্রশ্ন উঠায় অনেকে তার শেষ যাত্রাকে ঘিরে দুঃখের পাশাপাশি শঙ্কার কথাও বলছেন।