ঢাকা চেম্বারের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইউনিটের পরিচালক ড. মো. সেলিম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং র্যাপিড-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ এবং বিআইডিএস-এর সাবেক মহাপরিচালক ড. খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ।
ড. খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ বলেন, “অর্থনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বেসরকারি খাতের আস্থা পুনরুদ্ধার জরুরি। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়; সুশাসন, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।”
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, “চামড়া শিল্পে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা গেলে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি সম্ভব। তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রানীতি, বাজেট এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন। তরুণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দিতে হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ড. মো. সেলিম আল মামুন বলেন, “মুদ্রানীতি, বিনিময় হার এবং পণ্য সরবরাহ চেইনে অস্থিতিশীলতা আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলে বেসরকারি খাত উপকৃত হবে।”
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, “আমাদের শিল্প উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি অব্যাহত রাখতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, উচ্চ সুদহার এবং মুদ্রা বিনিময় হারের প্রভাব বিবেচনায় এনে অর্থনৈতিক নীতিগুলো পুনর্মূল্যায়ন করার প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সিএমএসএমই খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো জরুরি, কারণ এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় হলে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি কিছুটা নমনীয় করার প্রস্তাবও বিবেচনা করা যেতে পারে।”
এই সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য ও শিল্প খাতের বিশিষ্টজন এবং ডিসিসিআই-এর অন্যান্য কর্মকর্তা।