বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বুধবার (৯ অক্টোবর) সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া দুই ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানের পদত্যাগসহ অফিসার্স কাউন্সিলের ‘বিবি-নাইট’ বাতিলের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আন্দোলনকারীরা গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে ‘বিবি-নাইটে’ শারীরিকভাবে উপস্থিত না থাকতে অনুরোধ করেন। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকার্স প্লাটফর্ম ‘দুর্নীতিমুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠন পরিষদ’-এর মাধ্যমে গভর্নরকে একটি স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।” ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করার পর সব ডেপুটি গভর্নরেরও পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
আন্দোলনকারীরা জানান, “বর্তমানে গভর্নর এবং দুই ডেপুটি গভর্নরের যোগদানের কারণে তাদের আর থাকার সুযোগ নেই।” তারা দাবি করেন, “সাবেক সরকারের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে নুরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানকে রাখা বৈষম্য।”
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনগত, আর্থিক ও পরিচালনগত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা আর্থিক খাতে অনিয়ম, লুটপাট ও দুর্নীতি বন্ধের দাবি তুলে ধরেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারী কয়েকজন জানান, “বর্তমান কাউন্সিলের মেয়াদ গত মে মাসে শেষ হয়েছে, কিন্তু তারা নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতায় রয়েছেন, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।” তারা অভিযোগ করেন যে, বর্তমান কাউন্সিল আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং নতুন গভর্নরকে চাপে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আন্দোলনকারীরা দৃঢ়ভাবে দাবি করেন, “বিএফআইইউ প্রধান এবং নীতি উপদেষ্টা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।” তারা বলেন, “দুই ডেপুটি গভর্নরকে দিয়ে পোস্টিং এবং বদলি করতে অবৈধ প্রভাব খাটানো হচ্ছে।”
এছাড়াও, তারা সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ব্যাংকিং খাতে লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।