বাংলাদেশের বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সম্প্রতি একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্টের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার নীরব থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত জুলাই-অগাস্ট মাসে চলা এই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, কিন্তু সাকিব তখন দেশের বাইরে ক্রিকেটের ব্যস্ততায় ছিলেন।
পোস্টে সাকিব উল্লেখ করেন, “আসসালামু আলাইকুম। আমার দেশের প্রতিটি মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা।” তিনি ছাত্র আন্দোলনের নেতৃৃত্বে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন, তাদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সাকিব বলেন, “এদের আত্মত্যাগের জন্য কোনো কিছু দিয়েই পূরণ করা সম্ভব নয়। সন্তান কিংবা ভাই হারানোর বেদনা কখনোই মুছে ফেলা যায় না।”
তিনি বলেন, “যারা আমার উপস্থিতি না থাকার কারণে ব্যথিত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি জানি, আপনারা আমাকে ভালোবাসেন এবং সেজন্য আমি আপনাদের কষ্ট অনুভব করি।”
সাকিব তার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কথা বলেন। তিনি মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং জানান যে, এই দায়িত্ব গ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল তার জন্মস্থান মাগুরার মানুষের উন্নয়ন। তিনি বলেন, “রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চেয়েছিলাম, তবে বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব ছাড়া উন্নয়ন করা কঠিন।”
সাকিব তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করেন, বলেন, “আমি যখন যে অবস্থায়ই থাকি, ক্রিকেটই আমার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। এই খেলাই আমাকে আজকের সাকিব আল হাসান করেছে। আমি যখন মাঠে ব্যাট ধরেছি, তখন গ্যালারি থেকে আপনারা আমাকে সমর্থন করেছেন। আমার জয়ের ফলে আপনাদের আনন্দ এবং হারের ফলে আপনারা কষ্ট পেয়েছেন।”
তিনি জানান, “আমি শিগগিরই আমার শেষ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। আমার পুরো ক্রিকেট যাত্রা আপনাদের সমর্থনের উপর নির্ভরশীল। এই গল্পের শেষ অধ্যায়ে, আমি আপনাদের পাশে চাই। বিদায়বেলায় আমি চাই, আপনারা সকলেই আমার সাথে থাকুন।”
সাকিব শেষ পর্যন্ত জানান, আগামী মাসের শেষের দিকে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ইচ্ছা তার।