লা লিগার নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে উত্তেজনাপূর্ণ ২-১ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ম্যাচের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের লাল কার্ড। গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কিকে আঘাত করার জন্য সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তিনি। ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়ুস এক্স-এ পোস্ট করে লাল কার্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেন, “দুঃখিত, এবং ধন্যবাদ দলকে!”
ম্যাচের সারসংক্ষেপ:
প্রথমার্ধে ভ্যালেন্সিয়ার হুগো দুরো গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। রিয়াল মাদ্রিদ দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। জুড বেলিংহ্যাম পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন, তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
৭৯তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসের লাল কার্ড রিয়াল শিবিরে চাপ তৈরি করে। তবে বদলি খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচ ৮৫তম মিনিটে সমতা ফেরান। অতিরিক্ত সময়ে বেলিংহ্যাম অসাধারণ একটি গোল করে রিয়ালকে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেন।
কোচের প্রতিক্রিয়া:
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, “আমরা মনে করি এটি সরাসরি লাল কার্ড হওয়ার মতো অপরাধ ছিল না। দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি গর্বিত। প্রথমার্ধে বাজে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছি।”
বেলিংহ্যামের পেনাল্টি মিস প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেন, “আমাদের পেনাল্টি সমস্যা সমাধান করতে হবে। তবে বেলিংহ্যাম যা করেছে, তা ছিল অসাধারণ। পেনাল্টি মিসের পর তার গোলটি আমাদের জন্য জয়ের মূল চাবিকাঠি।”
ভিনিসিয়ুসের লাল কার্ড ও আপিল:
ভিনিসিয়ুসের ক্যারিয়ারের এটি মাত্র দ্বিতীয় লাল কার্ড। এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে মেস্তায়ায় প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি। এই লাল কার্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিয়াল মাদ্রিদ আপিল করার পরিকল্পনা করছে। আনচেলত্তি জানান, “আমরা আপিল করব। যদিও নিশ্চিত নই, এটি মঞ্জুর হবে কি না।”
পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান:
এই জয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদ ১৯ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে উঠে এসেছে। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রিয়াল মাদ্রিদ: ২ (মদ্রিচ ৮৫’, বেলিংহ্যাম ৯০+২’)
ভ্যালেন্সিয়া: ১ (হুগো দুরো ৩৪’)
লাল কার্ড: ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (৭৯’)