মনিরা মিঠুর সেলফি অভিজ্ঞতা: ‘এটা এক ধরনের রোগের মতো!’

প্রায় দুই দশক ধরে ছোট ও বড় পর্দায় সফলভাবে কাজ করছেন অভিনেত্রী মনিরা মিঠু, যিনি বিশেষ করে নাটকে পরিচিত। তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে, যিনি তাকে তাঁর নির্মাণে অভিনয় করার সুযোগ দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি দেশ টেলিভিশনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, নিজের অভিনয় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন মিঠু। তিনি বলেন, “আমার কাজের পেছনে ছুটতে হয়নি; বরং কাজ আমার পেছনে ছুটেছে এবং আজও তা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে অভিনয় করে তৃপ্তি পাই, তারা আমাকে প্রয়োজন হলে ডাকবে।”

অভিনয়ের বাজার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মনিরা মিঠু জানান, “অনেক গুণী নির্মাতা রয়েছেন, যাঁরা বাজেটের অভাবে কাজ পাচ্ছেন না। বর্তমানে যাদের ভিউ বেশি, তাদের প্রচুর বাজেট দেওয়া হচ্ছে। অথচ, ভিউ যাদের বেশি, তারা অনেক বেশি মেধাবী এবং নতুন গল্প নিয়ে কাজ করেন। আমরা অনেক মাঝারি ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি, এবং তাদেরকে আমি ছোটভাবে দেখব না।”

মিঠু বলেন, “যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে, কেন আমি সব জায়গায় কাজ করছি, তাহলে আমি বলব, এটা আমার পেশা। যাদের বাজেট বেশি, তারা যখন আমাকে প্রয়োজন অনুভব করবেন, তখন ডাকবেন। আল্লাহ যেখানে আমার রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন, আমি সেখানেই কাজ করে খাব।”

সাক্ষাৎকারে নাটকের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি, “আমার মনে হয়, একদিন এমনটা আসবে যখন নাটক হারিয়ে যাবে। পাশের দেশে এক ঘণ্টার নাটক নেই, তারা একটি সিরিয়াল ১০ বছর ধরে চালায়, কিন্তু আমাদের দেশে সেটা সম্ভব নয়।”

নিজের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে মিঠু জানান, “ভালো লাগা তো আছে, রাস্তায় বের হলে সবাই সেলফি তুলতে আসে। সেলফি তুলি, গালিও খাই। ফেসবুকে গালিও খেতে হয়। একবার হাসপাতালে গিয়ে, প্রচণ্ড মন খারাপ থাকার পরও সেলফি তুলতে হয়েছিল। সেলফি রোগের মতো; আবার ফেসবুকে তাদেরই কিছু গালি দেয়। তবে এটি একটি ইতিবাচক দিক, কারণ আমার চাহিদা রয়েছে বলেই তারা সেলফি তুলতে চায়। যেদিন আমি জনপ্রিয়তা হারাব, সেদিন সেলফি তুলতেও কেউ আসবে না।”