সরকারের সংস্কার ও উন্নয়নে সহায়তা চায় বিশ্বব্যাংক, আইএফসি, আইএমএফের: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকার দেশের চলমান ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছে।

আজ সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএফসির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, সরকার ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছে কিছু চলমান ও ভবিষ্যতের কর্মসূচিতে সহায়তা চেয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরো আলোচনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ড. সালেহউদ্দিন আরও জানান, সরকার ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা এবং কর ব্যবস্থার আধুনিকায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্যও আবেদন করেছে। তিনি বলেন, শুধু আইএফসি ও আইএমএফ নয়, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকেও সমন্বয়ের মাধ্যমে সহায়তা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংস্কারের জন্য প্রচুর সম্পদের প্রয়োজন। স্থানীয় উৎস থেকে যতটা সম্ভব সম্পদ সংগ্রহের চেষ্টা করলেও কিছু ক্ষেত্রে আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক উৎস থেকে অর্থায়নের প্রয়োজন হবে, যা ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কারেও সহায়ক হবে।”

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএফসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজকের বৈঠকে বিভিন্ন সম্ভাব্য সহায়তা এবং নীতিগত দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করবে। তারা এনবিআরের সঙ্গেও কর সংস্কার নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার, আঞ্চলিক পরিচালক ইমদাদ ফাখৌরি এবং বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক আবদৌলায়ে সেক প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে। এর মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ এবং ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে পুনঃনির্ধারণ করা হবে।