জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে আটক জাবির অধ্যাপক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে পুলিশের কাছে সোপর্দ!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জাবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ কোনো কাজের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। সেসময় ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতে দেখে শিক্ষার্থীরা তাঁকে চিনে ফেলেন এবং উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে অধ্যাপক ফরিদ এক কর্মকর্তার কক্ষে আশ্রয় নেন, কিন্তু পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে শিক্ষার্থীরা পুলিশে খবর দেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বকর জানান, ‘রফিক ভবনের সামনে তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখে আমরা চিনে ফেলি। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিই।’

শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জাবির শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার পেছনে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের মদদ ছিল। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় মামলা করেন, যেখানে অধ্যাপক ফরিদকে আসামি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাজাম্মুল হক জানান, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ প্রয়োজনীয় কাজে স্ত্রীর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। তবে শিক্ষার্থীদের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি আইন অনুযায়ী সমাধান করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশুলিয়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত তাঁকে কোথায় হস্তান্তর করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।